বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাবে সমুদ্রের রং পরিবর্তন হচ্ছে। এই পরিবর্তনে পানির রং ক্রমেই নীল থেকে সবুজে পরিণত হচ্ছে। বিভিন্ন সাইন্টিফিক গবেষণা প্রমাণ করেছে যে, ২০০২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত স্যাটেলাইট ছবির বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই পরিবর্তন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যুক্তরাজ্যের কিছু বিজ্ঞানী এই বিষয়ে গবেষণা করে এবং সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ করেছেন। এই বিবরণী বুধবার (১২ জুলাই) প্রকাশিত হয়েছে।


২০০২ থেকে ২০২২ পর্যন্ত সমুদ্রের পানির রং দীর্ঘ ২০ বছরে পরিবর্তিত হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের কিছু বিজ্ঞানী মোডিস অ্যাকুয়া স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তোলা ছবির বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই পরিবর্তন প্রমাণিত করেছেন। এই প্রতিবেদন বুধবার প্রকাশিত হয়েছে এবং এটি মাধ্যমে জানা গেছে যে সমুদ্রের রং নীল থেকে সবুজে পরিণত হচ্ছে। যদিও খালি চোখে এ পরিবর্তনটি সহজভাবে দেখা যাচ্ছে না কিন্তু বিজ্ঞানীরা এই প্রমাণিত করেছেন।


এই প্রতিবেদন ভৌগলিকভাবে পৃথিবীর তিনটি ভাগ পানি এবং একটি ভাগ স্থল সম্পর্কে উল্লেখ করেছে। গবেষকদের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে যে, মৌসুমিক জলবায়ু এলাকাগুলোতে সমুদ্রের রং পরিবর্তনের হার অন্যান্য এলাকাগুলোর চেয়ে অনেক বেশি। এছাড়াও প্রশংসনীয় বিষয় হলো, গত ২০ বছরে সমুদ্রের রং পরিবর্তনে আকারে এলাকার যে পরিমাণ পরিবর্তন হয়েছে, তা পৃথিবীর স্থলভাগের চেয়ে অনেক বেশি। এই প্রমাণিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।


বিজ্ঞানীদের অনুসারে, সমুদ্রের রং পরিবর্তনের অর্থ হলো সেখানে বাস্তুসংস্থানে এবং জীবনচক্রে পরিবর্তন ঘটছে। সামুদ্রিক প্রাণীদের খাদ্যচক্রে প্ল্যাঙ্কটন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদি প্ল্যাঙ্কটনের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং এর ফলে সমুদ্রের রং পরিবর্তন ঘটে, তবে এটির কিছু আশ্চর্যজনক প্রভাব থাকতে পারে।


এই প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা সতর্কতা প্রদান করেছেন কারণ সমুদ্রে অনেক স্পর্শকাতর প্রাণী রয়েছে এবং যদি বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়, তাহলে এই প্রাণীগুলো চিরতরে বিলুপ্ত হতে পারে। বিজ্ঞানীরা এই সম্ভাবনা সতর্কতা দেওয়ার উপায়ে তাদের মন্তব্য দিয়েছেন।